ব্যাটারি কেয়ার , গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা , ড্রাইভিং স্টাইল ও দক্ষতা উপরে হাইব্রিড গাড়ির পারফর্মেন্স নির্ভর করে। সেই সাথে সাথে ফুয়েল ইকনোমি বা মাইলেজ সংক্রান্ত গুরুত্বপূন বিষয় টি হাইব্রিড গাড়ির মেইন্ট্যানেন্স , পরিচালনা ও ড্রাইভিং এর উপরে নির্ভর করে। যদি কস্ট বেনিফিট বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইব্রিড ও ইলেক্ট্রিক কার ক্রয় করা হয় তাহলে অধিক তর পারফর্মেন্স এর ফলাফল উপলদ্ধি করা যাবে। নিম্নোক্ত ৩ টি পদ্ধতি অনুসরন করে হাইব্রিড গাড়ির পারফর্মেন্স সর্বাধিক করা
(১) হাইব্রিড গাড়ি সবসময় লো মাইলেজ কেনার ট্রাই করবেন, অন্তত ৮০ হাজার কিমি এর নিচে, ৬০ এর নিচে হলে খুবই ভালো।
(২) হাইব্রিড গাড়িতে এসি চালিয়ে রাখার ট্রাই করবেন। কেননা হাইব্রিড গাড়ির এসি সিস্টেম কোনো এক্সট্রা তেল খায় না, জেনারেটর এর মাধ্যমেই এসির কম্প্রেশর রান হয়। এই এসির বাতাস পিছের সিটের এয়ার ভেন্টস দিয়ে ব্যাটারিকে ঠান্ডা রাখে, এই ক্ষেত্রে এয়ার ভেন্টস গুলো ও ক্লিন রাখবেন।
(৩) হাইব্রিড গাড়িতে সর্বদা টায়ার প্রেশার ঠিক রাখবেন। রিম সাইজ চেঞ্জ করবেন না অতি প্রয়োজনীয় না হলে। ভালো মাইলেজ পেতে Eco মোড এ চালাতে পারেন। এতে থ্রটল রেসপন্স কিছুটা বাজে হবে, কিন্তু পিসিউ পারতে ইঞ্জিন চালু করবে না। জ্যাম এ N গিয়ারের বদলে P গিয়ারে গাড়ি রাখতে পারেন কেননা নিউট্রাল গিয়ারে Hv ব্যাটারি চার্জ হয় না।
(৪) সর্বদা 0W-20 গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ইউজ করবেন।
কিন্তু তখন উন্নতমানের ব্যাটারি ও ইলেক্ট্রিক মোটর ছিলো না বলে,তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।১৯৬০ এর দশকে আমেরিকার গভর্মেন্ট এয়ার পলিউশন কমানোর জন্য হাইব্রিড গাড়ির প্রতি সবাইকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললে সারা বিশ্বে সব ম্যানুফ্রাকচার এর হাইব্রিড গাড়ির দিকে চোখ যায়।হাইব্রিড গাড়ির বিপ্লব শুরু হয় মূলত ৯০ এর দশকে।তখন টয়োটা লঞ্চ করে তাদের মোস্ট এফিসিয়েন্ট হাইব্রিড কার প্রিয়াস,১৯৯৭ সালে। টয়োটাকে ফলো করে হোন্ডা লঞ্চ করে তাদের ইনসাইট হাইব্রিড,১৯৯৯ সালে।তখনকার এই হাইব্রিড গাড়িগুলো তাদের ফিউল এফিসিয়েন্সি এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।২০০৩ সালে আমাদের দেশে আনা হয় ৩০ টির মতো হাইব্রিড কার,কিন্তু আফটার সেলস সার্ভিস এর অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো হাইব্রিড গাড়ির ইম্পোর্ট।এইতো কয়েকবছর আগেই আমাদের দেশে হাইব্রিড গাড়ির ট্যাক্স কমানোর পরেই ইম্পোর্টার রা আনতে থাকেন প্রচুর হাইব্রিড কার,দেশেই গড়ে ওঠে হাইব্রিড গাড়ির মানসম্মত ওয়ার্কশপ।